রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ অপরাহ্ন
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার হত্যাকারীর ২ সহযোগীকে ভারতে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
নজরুল ইসলাম বললেন, ফয়সাল ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন। মেঘালয় পুলিশ তার দুই সহযোগীকে আটক করেছে।
তিনি বলেন, হাদি হত্যায় এ পর্যন্ত ফয়সালের বাবা ও মা, তার স্ত্রী, শ্যালক, বান্ধবীসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, মোটরসাইকেল ও ভুয়া নম্বর প্লেট এবং ৫৩টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ২১৮ কোটি টাকার চেক উদ্ধারের কথাও জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পূর্ব-পরিকল্পিত। ফয়সালসহ আরও একজন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত পার হয়ে ভারতে পালিয়েছে। এর মধ্যে ৬ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। দ্রুত এই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দেয়া হবে। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটে পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন শরিফ ওসমান হাদি। মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ রাহুল দাউদ ও তার অজ্ঞাত পরিচয় সহযোগী হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত অবস্থায় গুলি চালায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান।